বিকাশ

মোবাইল ভিত্তিক আর্থিক সেবা

বিকাশ বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোন ভিত্তিক অর্থ স্থানান্তর (এমএফএস) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের সবচাইতে বড় অর্থায়ন প্রতিষ্ঠান। এটি ব্যাঙ্ক হিসাববিহীন ব্যক্তিদের আর্থিক সেবা প্রদানের লক্ষ্যে চালু করা হয়েছিল।[২][৩] গ্রাহকরা *২৪৭ # ডায়াল করে এবং বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে নগদ অর্থ জমা করা, নগদ অর্থ উত্তোলন করা, টাকা পাঠানো, টাকা যোগ করা, রেমিট্যান্স, মোবাইল রিচার্জ, মূল্য প্রদান ও বিল দেয়া ইত্যাদি সেবাগুলো নিতে পারেন।[৪] বিকাশ হিসাব খুলতে একজন গ্রাহককে পুর্ণাঙ্গ তথ্য দিয়ে নির্ধারিত গ্রাহক নিবন্ধন ফর্ম (কেওয়াইসি) পূরণ করতে হয়।

বিকাশ
বিকাশের লোগো.svg
ব্যবসার প্রকারবেসরকারি কোম্পানি
সদরদপ্তরস্বাধীনতা টাওয়ার, ১, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ জাহাঙ্গীর গেট, ঢাকা ক্যন্টনমেন্ট, ঢাকা ১২০৬, বাংলাদেশ
প্রধান ব্যক্তিকামাল কাদির সিইও
পরিষেবাসমূহঅর্থ আদান-প্রদান
ধারক কোম্পানীব্র‌্যাক ব্যাংক, অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন, মানি ইন মোশন এলএলসি, ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন [১], সফ্‌টব্যাংক
ওয়েবসাইটwww.bkash.com/bn
চালুর তারিখ২০১১
বর্তমান অবস্থাঅনলাইন

ইতিহাস

বিকাশ আমেরিকার মানি ইন মোশন এলএলসি এবং ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, বাংলাদেশ-এর যৌথ উদ্যোগ হিসাবে ২০১১ সালে শুরু হয়েছিল। এপ্রিল ২০১৩-তে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) বিকাশের নায্য অংশীদার হয় এবং মার্চ ২০১৪-এ বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এর বিনিয়োগকারী হয়।[৫] এপ্রিল ২০১৮ সালে চীনের আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গসংস্থা আলিপে’র আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ্যান্ট ফিনান্সিয়াল বিকাশের ইক্যুইটি অংশীদার হয়।[৬] বিকাশ ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের অংশিদার হিসাবে কাজ করে এবং অন্যান্য ব্যাংক এবং অর্থায়ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহায়তা করে।[৭][৮]

ফরচুন ম্যাগাজিন ২০১৭ সালে তাদের "চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড" তালিকার শীর্ষ ৫০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিকাশকে ২৩ তম স্থানে রেখেছে।[৯] এশিয়ামানি পত্রিকাটি বিকাশকে ২০১৮- এর সেরা ডিজিটাল ব্যাংক হিসাবে ঘোষণা করেছে,[১০] এবং ওয়ার্ল্ড এইচআরডি কংগ্রেস এটিকে ২০১৭ সালে এশিয়ার সেরা কর্মী হিসেবে ঘোষণা করেছে।[১১] বিকাশকে সমস্ত ব্র্যান্ডের পাশাপাশি এমএফএস ব্র্যান্ডের বিভাগের মধ্যে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম "সেরা ব্র্যান্ড পুরস্কার ২০১৯"-এ ভূষিত করেছে।[১২]

ধারণা

বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী রয়েছে। ব্যাংকিং সেবা দেশের বেশিরভাগ মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্যে দেশব্যাপী বিস্তৃত মোবাইল নেটওয়ার্ক একটি দ্রুত ও দক্ষ মাধ্যম হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।[১৩] এমন ধারণা থেকেই বাংলাদেশে বিকাশ পরিসেবার উৎপত্তি।[১৪]

অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের মতই বাংলাদেশেও মানুষ গ্রামে পরিবারের ভরণপোষণের লক্ষ্যে কাজের জন্যে শহরমুখী হয়। এ ধরনের কর্মজীবিদের জন্যে সহজ ও সুবিধাজনক উপায়ে বাড়িতে টাকা পাঠানোর একটি ব্যবস্থা তৈরির করার প্রয়োজনীয়তা "বিকাশ" উদ্ভাবনের পেছনে একটি অন্যতম মৌলিক ধারণা হিসেবে কাজ করে।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জন্যে ব্যাপক পরিসরে আর্থিক সেবা প্রদান সম্ভব হবে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের জনগোষ্ঠীকে সুবিধাজনক, সাশ্রয়ী, এবং নির্ভরযোগ্য সেবা প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক কার্যকলাপের সাথে সম্পৃক্ত করা যাবে।[১৫]

সেবা

বিকাশ দ্রুত, নিরাপদ, সুবিধাজনক এবং সাশ্রয়ী ভাবে আর্থিক সমাধান করে ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় আর্থিক নতুনত্বের মাধ্যমে মানুষকে ক্ষমতায়িত করেছে।

গ্রাহক সেবা

  • অর্থ প্রেরণ: অর্থ প্রেরণ মানে একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর সেবা। এটি অ্যাপ এবং *২৪৭# উভয় দিয়েই করা যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে টাকা পাঠানো হয়।

মোবাইল রিচার্জ: মোবাইল রিচার্জ বিকাশ গ্রাহককে তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে মোবাইল এয়ারটাইম রিচার্জ করতে দেয়। এটি নিজের মোবাইল ফোনের জন্য বা অন্য কারও মোবাইল ফোনের জন্য করা যেতে পারে।

  • অর্থ প্রদান: অর্থ প্রদান সুবিধায় বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশে পেমেন্ট গ্রহণ করেন এমন যেকোনো ব্যবসায়ীর কাছে অর্থ প্রদান করা যেতে পারে। বিকাশ পেমেন্ট দেশব্যাপী এক লক্ষেরও বেশি আউটলেটগুলোতে আছে।
  • অর্থ যোগ করা: এই সুবিধাটি ব্যবহার করে একজন বিকাশ গ্রাহক ক্রেডিট / ডেবিট কার্ড থেকে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে পারেন। বর্তমানে সেবাটি মাস্টারকার্ডেও পাওয়া যাচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও গ্রাহকরা ১১টি অংশীদারী ব্যাংক থেকে তাঁর বিকাশ আউটলেটে অর্থ যোগ করতে পারবেন।
  • বিল প্রদান: এই সুবিধাটির সাহায্যে বিকাশ গ্রাহকরা উপযোগ থেকে শুরু করে পুনরাবৃত্ত অর্থ প্রদানের জন্য বিভিন্ন বিল প্রদান করতে পারবেন। এর মধ্যে সাম্প্রতিকতম সংযোজনটি হল ভিসা ক্রেডিট কার্ডের বিল দেয়া।
  • রেমিট্যান্স: বিদেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা অনুমোদিত ও তালিকাভুক্ত বিদেশী ব্যাংক, মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন (এমটিও) এবং মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলির মাধ্যমে তাদের স্বজনদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে সবচেয়ে সহজতম এবং সুবিধাজনক উপায়ে আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন। ৭০টিরও বেশি দেশের অভিবাসীরা বাংলাদেশে তাদের স্বজনদের বিকাশ অ্যাকাউন্টগুলিতে রেমিট্যান্স পাঠাতে পারবেন।
  • সঞ্চয়ের ওপর সুদ: অর্থ সুরক্ষিত রাখার পাশাপাশি বিকাশ গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাকাউন্টে সঞ্চয়ের ওপর ৪% পর্যন্ত সুদ (বার্ষিক) ভোগ করতে পারেন।
  • নগদ জমা: বিকাশ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার জন্য নগদ জমা ব্যবহার করা হয়। এটি কোনও এজেন্ট বা বিতরণের মাধ্যমে করা যেতে পারে।
  • নগদ উত্তোলন: বিকাশ অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত পরিমাণ ব্যালেন্স থাকলে গ্রাহকরা যে কোনও বিকাশ এজেন্ট বা অংশীদার ব্যাঙ্কের এটিএম থেকে যে কোনও সময় নগদ টাকা তুলতে পারবেন। অ্যাপ এবং ইউএসএসডি উভয় থেকেই ক্যাশ আউট করা যায়।
  • টিকেট ক্রয়:
    • ট্রেনের টিকেট: গ্রাহকরা ঘরে বসে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে ট্রেনের টিকিট বুক করা যায়।
    • সিনেমার টিকিট: এখন গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপ থেকে ‘ব্লকবাস্টার সিনেমা’র টিকিট বিকাশ অ্যাপ থেকেই কেনা যায়।
  • অনুদান: বিকাশের মাধ্যমে ১৩টি দাতব্য সংস্থায় দান করা যায় এবং শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবায় অবদান রাখতে সহায়তা করা যায়, অথবা জাকাত দেয়া যায়।

কর্পোরেট সেবা

  • অর্থ বিতরণ সলুশন: সরকারী / বেসরকারি সংস্থার বেতন বিতরণ এবং গ্রাহকদের জন্য অর্থ প্রদান সুবিধা।
  • অর্থ সংগ্রহ সলুশন: কর্পোরেট গ্রাহকদের পক্ষ থেকে মোবাইলে টাকা পেমেন্টের অর্থ সংগ্রহ করা।

গ্রাহক সংখ্যা

বিকাশের ভাষ্য অনুযায়ী তাদের ৫ কোটি যাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট ও ২ লক্ষ এজেন্ট আছে।[১৬]

গ্রাহক সেবা চ্যানেল

বিকাশ অ্যাপ

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে যে কোনও লেনদেন সহজ, দ্রুত করা যায়। অ্যাপ্লিকেশনটি গ্রাহকদের তাদের লেনদেনের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রদান করে। অ্যাপটি ব্যবহার করতে, গ্রাহকের একটি সক্রিয় বিকাশ অ্যাকাউন্ট এবং ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হয়। অ্যাপ্লিকেশনটি ভয়েস সহকারীর সেবা সহায়তায় ইংরেজি এবং বাংলা উভয় ভাষাতেই ব্যবহার করা যেতে পারে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন কিউআর কোড স্ক্যান করে দোকানে দাম দিতে পারবেন এবং অংশীদার ব্যাংকগুলো থেকে ওয়ালেটে অর্থ যোগ করতে পারবেন। অ্যাপটিতে বাংলা পাঠ্য এবং ভয়েস প্রম্পটের মতো ফিচারও রয়েছে, যা শারীরিক জটিলতা এবং অল্প শিক্ষিত ব্যবহারকারীদের পক্ষে সহায়ক হিসাবে কার্যকর হয়েছে। ২০১৯ সালে বিকাশ অ্যাপটি একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি এবং নতুন ফিচার নিয়ে পুনরায় চালু করা[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

অ্যাপের বৈশিষ্ট্য

  • স্ব-নিবন্ধন: বিকাশ গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপে একাউন্ট নিবন্ধন করতে পারেন। এ জন্য দরকার শুধু একটি বৈধ পরিচয়পত্র এবং সেলফি।
  • এলাকা ভিত্তিক অফার: এই ফিচারে গ্রাহকরা বিকাশ অ্যাপে অফারে দেখতে পান বিশেষ অফারগুলো। ভৌগিলিক অবস্থানের ভিত্তিতে কাছাকাছি অফারগুলো গ্রাহককে দেখান হয়।
  • অনুসন্ধান: এই ফিচারের মাধ্যমে অনিবন্ধিত গ্রাহকরা বিকাশে কি আছে দেখতে পারে।
  • আমার বিকাশ: এই বিভাগে সাম্প্রতিক লেনদেন জমা থাকে।
  • পরামর্শ: অ্যাপের গ্রাহক সেবা সহায়তা। ব্যবহারকারীরা ই-মেল করতে পারেন বা এজেন্টের সাথে সরাসরি কথা বলা যায়।
  • কুপন: ব্যবহারকারীর আচরণের ওপর ভিত্তি করে ডিসকাউন্ট কুপন।
  • বিবরণ: গ্রাহক তার গত ৯০ দিনের লেনদেন দেখতে পারেন অ্যাপে, কত টাকা তিনি নগদ জমা করেছেন এবং নগদ তুলেছেন ঐ নির্দিষ্ট একাউন্টে।
  • সীমা: গ্রাহকের দৈনিক বা মাসিক নগদ জমা, টাকা পাঠান, মোবাইল রিচার্জ, দাম পরিশোধ, নগদ তোলা, টাকা যোগ করা এবং রেমিট্যান্স সীমা মনে রাখার দরকার নেই। ‘সীমা’ এসবই বিস্তারিত জানায়।
  • পিন বদল: গ্রাহকরা সহজেই পিন বদল করতে পারেন।
  • বিজ্ঞপ্তি: গ্রাহক বাস্তব সময়ে সেবা পেতে এই বিকল্পটি চালু করতে পারেন।
  • স্মার্ট কিউআর কোড স্ক্যানার: নতুন বিকাশ অ্যাপ্লিকেশনটিতে স্মার্ট কিউআর স্ক্যানার রয়েছে, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোন অনুরোধ নগদ অর্থ প্রদানের জন্য বা নগদ তোলা বা অন্য কোনও বিষয় কিনা তা শনাক্ত করতে পারে।
  • যোগাযোগের তালিকা থেকে প্রাপক নির্বাচন করুন: গ্রাহক মোবাইল ফোনের যোগাযোগের তালিকা থেকে যোগাযোগ নির্বাচন করে অর্থ পাঠাতে পারা যায়। এতে ত্রুটির সম্ভাবনা শূন্য।

*২৪৭#

গ্রাহকরা তাদের মোবাইল ফোন থেকে *২৪৭# ডায়াল করে বিকাশ সেবা পেতে পারেন। অর্থ প্রেরণ, মোবাইল রিচার্জ, পেমেন্ট, ক্যাশ আউট, পে বিল, ব্যালেন্স চেকিং, বিবরণের অনুরোধ ইত্যাদি সেবাগুলো ইউএসএসডি-এর মাধ্যমে সীমিতভাবে পাওয়া যায়।

পেমেন্ট গেটওয়ে

অংশীদার মার্চেন্ট অ্যাকাউন্টগুলি থেকে গ্রাহকরা পেমেন্ট গেটওয়ের মাধ্যমে সরাসরি অর্থ প্রদান করতে পারেন। গ্রাহকরা সাথে সাথে অনলাইন ব্যবসায়ীদের এবং রাইড শেয়ারিং সেবার বিল দেবার সুবিধা পান। তারা তাদের সুবিধাজনক সময়ে কয়েকটি সাধারণ ধাপে তাদের ইউটিলিটি বিলও পরিশোধ করতে পারেন। পে বিলে নতুন সংযোজন হিসেবে আছে ভিসা ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট।এবং নতুন মার্চেন্ট একাউন্ট যুক্ত হয়েছে। যেটাকে পার্সোনাল রিটেল একাউন্ট বলা হয়।

অংশীদার

আর্থিক খাতে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মোবাইল প্রযুক্তির সুবিধাকে সত্যিকারের বিশ্ব সমাধানে পরিণত করার লক্ষ্যে, বিকাশ লিমিটেড (বিকাশ) ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বিদেশী সেবা সংস্থার মানি ইন মোশন এলএলসি-এর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।[৭] ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেডের সহায়ক সংস্থা হিসাবে বিকাশ বাংলাদেশে মোবাইল আর্থিক সেবা দানের মাধ্যমে ২০১১ সালে যাত্রা শুরু করে। ২০১৩ সালে, বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের সদস্য, ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (আইএফসি) বিকাশের ইক্যুইটি পার্টনার হয়ে ওঠে, এরপরে আসে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।[৫] ২০১৮ সালে বিকাশ এবং অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল সার্ভিসেস গ্রুপ (আলিপে সিঙ্গাপুর ই-কমার্স প্রাইভেট লিমিটেড), বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন ও পিছিয়ে থাকা সম্প্রদায়ের জন্য আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রচারে কৌশলগত অংশীদারিত্বের ঘোষণা করেছে।[৬] নভেম্বর, ২০২১ এ, জাপানের সফ্‌টব্যাংক বিকাশের ২০ শতাংশ অংশীদারিত্ব কিনে।[১৭] ব্র্যাক ব্যাংকের মালিকানাধীন শেয়ারের শতাংশের এতে পরিবর্তন হয়নি।

শতকরা হারে অংশীদারত্ব যথাক্রমে ব্র্যাক ব্যাংক ৫১ শতাংশের, মানি ইন দ্য মোশন, যুক্তরাষ্ট্র ২৯ শতাংশ, আইএফসির, বিশ্ব ব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান, ৯.৯ শতাংশ এবং আলিবাবা গ্রুপের কোম্পানি আলিপের কাছে বাকি ১০.১ শতাংশ শেয়ার রয়েছে৷ বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং আলিপে সিংগাপুর প্রেফারেন্স শেয়ার আকারেও বিকাশে বিনিয়োগ করেছে৷[১৮]

পুরস্কার এবং স্বীকৃতি

  • মন্থন পুরস্কার (বিজয়ী, ২০১৪)
  • কমঅ্যাওয়ার্ড ইন্টিগ্রেটেড ক্যাম্পেইন (সোনা, ২০১৬)
  • সেরা এমএফএস ব্র্যান্ড পুরস্কার (ব্র্যান্ড ফোরাম, ২০১৭)
  • এশিয়ার সেরা নিয়োগকারী ব্র্যান্ড পুরস্কার (এইচআর কংগ্রেস, ২০১৭)
  • ২৩তম চেঞ্জ দ্যা ওয়ার্ল্ড পুরস্কার
  • গ্লোবাল ব্র্যান্ড এক্সিলেন্স পুরস্কার
  • নিলসন ক্যাম্পাস ট্র্যাক জরিপ (বি-স্কুল) ড্রিম এমপ্লয়ার পুরস্কার
  • আর্থিক খাতে সেরা উদ্ভাবন (বাংলাদেশ ইনোভেশন পুরস্কার, ২০১৮)
  • ব্র্যান্ড পুরস্কার (সেরা এবং নম্বর ওয়ান ফিনান্সিয়াল অ্যাপ্লিকেশন, এমএফএসে সেরা ব্র্যান্ড, ২০১৮ সবচেয়ে প্রিয় ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে ৫ম)
  • ব্র্যান্ড পুরস্কার (এমএফএসে সেরা ব্র্যান্ড, ২০১৯, সবচেয়ে প্রিয় ব্র্যান্ডগুলির মধ্যে ১ম)

আরও পড়ুন

তথ্যসূত্র

🔥 Top keywords: বিশেষ:অনুসন্ধানপ্রধান পাতারেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ানবাংলাদেশকাজী নজরুল ইসলামরবীন্দ্রনাথ ঠাকুরশেখ মুজিবুর রহমানইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগহুমায়ূন ফরীদিমিয়া খলিফারাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়জিয়াউর রহমানগান বাংলাবাংলা ভাষামোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীতুরস্কবাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীদের তালিকাবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিদের তালিকাতুরস্কের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, ২০২৩ভারতছয় দফা আন্দোলনবাংলা ভাষা আন্দোলনএক্স এক্স এক্স এক্স (অ্যালবাম)বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধনতুন সংসদ ভবন (ভারত)প্লাস্টিক দূষণপদ্মা সেতুবিশেষ:সাম্প্রতিক পরিবর্তনসমূহবাংলা প্রবাদ-প্রবচনের তালিকাপশ্চিমবঙ্গইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউনইউটিউবফেসবুকনরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামআমমোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনসুন্দরবনশেখ হাসিনা২০২৩ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগসাতই মার্চের ভাষণমুহাম্মাদবিড়ালঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরহিন্দুধর্মবিকাশভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনবাংলাদেশ আওয়ামী লীগআসসালামু আলাইকুমঅণুজীববাংলা বাগধারার তালিকাবিভিন্ন দেশের মুদ্রাকলকাতাসুভাষচন্দ্র বসুমুজিবনগর সরকারবাংলাদেশ সেনাবাহিনীভারত বিভাজনসিরাজউদ্দৌলারাজউক উত্তরা মডেল কলেজবিশ্ব দিবস তালিকাজয়নুল আবেদিনস্বামী বিবেকানন্দমহেন্দ্র সিং ধোনিবেগম রোকেয়ারবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জীবন (১৮৬১–১৯০১)ঢাকা মেট্রোরেলপলাশীর যুদ্ধঅসহযোগ আন্দোলন (ব্রিটিশ ভারত)বেদে জনগোষ্ঠীআন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসমাইকেল মধুসূদন দত্তবাংলাদেশের রাষ্ট্রপতিযোনিশাকিব খানশরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কম্পিউটারকৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাজীবনানন্দ দাশবায়ুদূষণমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসৌদি আরবসত্যজিৎ রায়কুরআনলালসালু (উপন্যাস)মুঘল সাম্রাজ্যআনন্দবাজার পত্রিকাআগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাবাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলবাল্যবিবাহতাজউদ্দীন আহমদরামায়ণসাজেক উপত্যকাবাংলাদেশের সংবিধানভারতের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহসম্প্রদায়আয়াতুল কুরসিআব্দুর রহমান (মুফতি)ইসলামঅপারেশন সার্চলাইটলিচু